যেভাবে যাবেন
দেশের যে কোনো জায়গা থেকে রূপগঞ্জ যেতে পারেন। এরপর সেখান থেকে কাঞ্জন ব্রিজ। অথবা কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মাইক্রোতে যেতে পারেন কাঞ্চন ব্রিজ। জনপ্রতি ভাড়া নেবে ৬০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটো রিকশায় যাবেন শিমুলিয়ায়। আর আশেপাশে কাউকে জিজ্ঞেস করলে জেনে যাবেন এই পদ্ম-শাপলা বিলের অবস্থান।
বিলের সৌন্দর্য (প্রাকৃতিক স্বর্গ)
দূর থেকেই চোখে পড়বে লাল আর সবুজের মাখামাখি। কাছে গেলে স্পষ্ট হবে শাপলা ফুলের এক প্রাকৃতিক স্বর্গ। দেখেই চোখ জুড়িয়ে যাবে। আগাছা আর লতাগুল্মে ভরা বিলের পানিতে ফুটে থাকা হাজার হাজার লাল শাপলা দেখতে কার না ভালো লাগে! সূর্যের সোনালি আভা শাপলাপাতার ফাঁকে ফাঁকে পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় এই বিলের সৌন্দর্য। নৌকা কিংবা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিলের ভেতর ঢুকলে মনে হবে বাতাসের তালে তালে এপাশ-ওপাশ দুলতে দুলতে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে শাপলারা। সে হাসিতে বিলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দধারা। বলছি ঢাকার খুব কাছেই নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের শাপলা বিলের কথা। সবাই ‘শাপলার বিল’ নামে চিনলেও এর মূল নাম শিমুলিয়া কুলাদি বিল। ফুল ফোটার পর থেকেই পাথরে বন্দি জীবন কাটানো মানুষরা প্রশান্তির আশায় ছুটে আসেন এ বিলে।
কত ধরণের শাপলা পাবো?
তিন ধরনের শাপলা জন্মে এ বিলে—লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের। তবে লাল শাপলাই বেশি। সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা থাকে। সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকা রয়েছে, চাইলে সেগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ঘণ্টা চুক্তিতে।